Category: সাধারণ বিজ্ঞান

General Science

  • সাতক্ষীরা জেলার নামকরণ, ইতিহাস, দর্শনীয় স্থান, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি

    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরার পূর্বে খুলনা, উত্তরে যশাের, পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা এবং দক্ষিণে মায়াময় সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সাতক্ষীরা। লৌকিক আচার-আচরণ, বিশ্বাস আর পৌরাণিকতায় সমৃদ্ধ এক জনপদ এই সাতক্ষীরা জেলা।

    নামকরণ

    অন্যান্য জেলার মতাে সাতক্ষীরা জেলার নামকরণ। নিয়েও রয়েছে বিভিন্ন মত। জনশ্রুতি আছে, নদীয়ার। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এক কর্মচারী বিষ্ণুরাম চক্রবর্তী নিলামে বুড়ন পরগনা কিনে তাঁর অন্তর্গত সাতঘরিয়া গ্রামে বাড়ি তৈরি করেন, সেখান থেকেই সাতক্ষীরা নামের উৎপত্তি। ১৮৫২সালে মহকুমা হিসেবে সাতক্ষীরা আত্মপ্রকাশ লাভ করলেও কলারােয়াতে ছিল এর সদর দপ্তর। ১৮৬১ সালে ইংরেজ শাসকেরা তাঁদের পরিচিত সাতঘরিয়াতেই প্রধান কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ইতিমধ্যেই সাতঘরিয়া ইংরেজ রাজকর্মচারীদের মুখে ‘সাতক্ষীরা’ নামে উচ্চারিত হতে থাকে।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    ইতিহাস

    সাতক্ষীরা বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদের অংশ। এ জনবসতি প্রাচীনকালে খ্যাত ছিল বুড়ন দ্বীপ নামে। প্রাচীন ইতিহাস ও মানচিত্রে বুড়ন দ্বীপের পাশে চন্দ্রদ্বীপ, মধুদ্বীপ, সূর্যদ্বীপ, সঙ্গদ্বীপ, জয়দ্বীপ ইত্যাদি নামে খ্যাত ছােট ছােট ভূখণ্ডের অবস্থান পাওয়া যায়। সপ্তম শতকের গােড়ার দিকে খুব সম্ভবত এই জেলা গৌড়াধিপতি শশাঙ্কের কর্তৃত্বাধীনে আসে। প্রাচীন বাংলার সমতট রাজ্যের অংশ ছিল বর্তমানের সাতক্ষীরা জেলা।

    মুসলিম শাসন শুরু হওয়ার পর ১৩৩৯ খ্রিষ্টাব্দে শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ যখন স্বাধীনতা ঘােষণা করেন, তখন থেকে সাতক্ষীরা অঞ্চল চলে যায় শাহি বংশের অধীনে। পরে ১৪৪২ খ্রিষ্টাব্দে খান জাহান আলী এই অঞ্চল জয় করে নিলে সাতক্ষীরা তাঁর অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর রাজা বিক্রমাদিত্য যশাের রাজ্য স্থাপন করলে সাতক্ষীরা এর অংশ হয়।

    বিক্রমাদিত্যের পুত্র প্রতাপাদিত্যের পতনের পর খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল চলে যায় জমিদারদের নিয়ন্ত্রণে। ১৮৫২ সালে মহকুমার মর্যাদা পাওয়ার পর সাতক্ষীরা যুক্ত হয় নদীয়া জেলার সঙ্গে। আবার ১৮৬১ সালে নদীয়া থেকে সাতক্ষীরাকে বিযুক্ত করে যুক্ত করা হয় চব্বিশ পরগনার সঙ্গে। ১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে সাতক্ষীরা এর মহকুমা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

    ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি

    সাতক্ষীরার ঐতিহ্য নানা কিংবদন্তির প্রবহমান ধারায় সজীব। বঙ্গোপসাগরের আঁচলছোঁয়া সুন্দরবন, আর সুন্দরবনকে বুকে নিয়ে সমৃদ্ধ এখানকার প্রকৃতি, এমনকি অর্থনীতিও। সুন্দরবনের চোখজুড়ানাে চিত্রল হরিণ, বিশ্ববিখ্যাত ডােরাকাটা বাঘ থেকে শুরু করে বনদেবী, রাজা প্রতাপাদিত্যের জাহাজঘাটা, বিভিন্ন মােগলীয় কীর্তি, অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, পুরাকালের কাহিনি, জারি-সারি, পালাগান, পালকি গান এসবের মধ্যেই সাতক্ষীরার মানুষের আত্মিক পরিচয় প্রােথিত রয়েছে।

    গ্রামবাংলার লােকজ ঐতিহ্যই এখন পর্যন্ত সাতক্ষীরার সংস্কৃতির মূলধারাটি বহন করে চলেছে। খুব সহজেই এখানে মিলিত হয়েছে লৌকিক আচার-আচরণের সঙ্গে পৌরাণিকত্ব। সাতক্ষীরায় বছরজুড়ে চলে বিভিন্ন ধরনের মেলা। দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলাটি বসে সাতক্ষীরা শহরেই।

    পলাশপােল, গুড়পুকুরের পাড়ে গুড়পুকুরের মেলা। প্রতিবছর বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে ভাদ্র মাসের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় হিন্দুদের মনসাপূজা। এই পূজাকে কেন্দ্র করে ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই গুড়পুকুরের মেলা। সাতক্ষীরা জেলা অর্থনীতিতে বরাবরই স্বনির্ভর।

    ব্রিটিশ যুগ থেকেই উপঢৌকন হিসেবে চব্বিশ পরগনা (বর্তমানের সাতক্ষীরা) লাভের পর অচিরেই নানাবিধ কৃষিপণ্য, গৃহপালিত পশু, নােনা ও মিষ্টিপানির মাছ এবং সুন্দরবনের কাঠ, মধু ও পশুর চামড়া সাতক্ষীরার অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি হয়ে ওঠে। মূলত মাছ চাষই সাতক্ষীরার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। বিশেষ করে চিংড়ি চাষ। বাংলাদেশ থেকে ইউরােপসহ বহির্বিশ্বে রপ্তানি করা ৭০ শতাংশ চিংড়ি সাতক্ষীরা থেকে উৎপাদিত হয়। সাতক্ষীরার বাগদা ও গলদা চিংড়ি বিশ্বের অনেক জায়গায় হােয়াইট গােল্ড নামে পরিচিত।

    দর্শনীয় স্থান

    • সুন্দরবন
    • মান্দারবাড়ীয়া সমুদ্রসৈকত
    • যশােরেশ্বরী কালীমন্দির
    • হরিচরণ রায়চৌধুরীর জমিদারবাড়ি
    • প্রবাজপুর শাহি মসজিদ
    • জমিদারবাড়ি জোড়া শিবমন্দির
    • শ্যামনগর যিশুর গির্জা— বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম গির্জা
    • মায়ি চম্পার দরগা
    • চেড়াঘাট কায়েম মসজিদ
    • তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ
    • ভােমরা স্থলবন্দর

    নদ-নদী

    • কপােতাক্ষ
    • ইছামতী
    • কালিন্দী
    • কাকশিয়ালী
    • খােলপেটুয়া
    • হাঁড়িভাঙ্গা
    • প্রাণসায়র

    দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ : সাতক্ষীরা জেলার হাঁড়িভাঙ্গা নদীর মােহনা অবস্থিত। এ দ্বীপের অপর নাম হচ্ছে নিউমুর বা পূর্বাশা। এই দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরােধ রয়েছে।

    বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ

    • খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ
    • ডা. এম আর খান
    • কবি সিকান্দার আবু জাফর
    • কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন
    • কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীন
    • কণ্ঠশিল্পী ফরিদা ইয়াসমীন
    • কণ্ঠশিল্পী ফৌজিয়া ইয়াসমীন
    • অভিনেতা আফজাল হােসেন
    • অভিনেত্রী রানী সরকার
    • অভিনেতা তারিক আনাম খান
    • ক্রিকেটার মােস্তাফিজুর রহমান
    • ক্রিকেটার সৌম্য সরকার
  • সুনামগঞ্জ জেলার নামকরণ, ইতিহাস, দর্শনীয় স্থান, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি

    হাওরের জন্য বিখ্যাত জেলা সুনামগঞ্জ। সিলেট বিভাগের অন্তর্গত জেলাটি তার দৃষ্টিনন্দন সব হাওরের জন্য পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়। সুনামগঞ্জের উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে হবিগঞ্জ ও কিশােরগঞ্জ জেলা, পূর্বে সিলেট এবং পশ্চিমে নেত্রকোনা জেলা অবস্থিত।

    নামকরণ ও ইতিহাস

    কথিত আছে, সুনাম উদ্দিন নামের এক মােগল সেনা তাঁর বীরত্বের জন্য মােগল সম্রাট কর্তৃক এ অঞ্চলের জমিদারি লাভ করেন। এরপর এখানে একটি বাজার স্থাপিত হয়, যার নাম রাখা হয় সুনামগঞ্জ। বর্তমান সিলেট বিভাগ প্রাচীনকালে তিনটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা ছিল লাউড় রাজ্যের অংশ। পরবর্তীকালে এই লাউড় রাজ্য তাদের স্বাধীনতা হারালে এ অঞ্চল মােগলদের হাতে আসে এবং সুনাম উদ্দিন এখানে এসে গঞ্জ স্থাপন করেন। এ অঞ্চলের পূর্বনাম ছিল বনগাঁও। ১৮৭৭ সালে সুনামগঞ্জকে মহকুমা করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে সিলেট জেলাকে যখন চার জেলায় ভাগ করা হয়, তখন সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি

    বিশেষজ্ঞদের মতে, সুনামগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা প্রাচীন চর্যাপদের ভাষার মতাে। সুনামগঞ্জের হাওর বাঁওড় ও নদীনালা এখানকার সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করেছে। জারি-সারি, ভাটিয়ালির দেশ বলা হয় এই জেলাকে। আউল-বাউলের চারণভূমি সুনামগঞ্জ তার ঐতিহ্যের ধারা থেকে আজও বিচ্যুত হয়নি। সুনামগঞ্জ জেলায় মণিপুরি, খাসিয়া, হাজং, গারাে প্রভৃতি ক্ষুদ্র জাতিগােষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

    একনজরে সুনামগঞ্জ জেলা
    প্রতিষ্ঠাকাল১৯৮৪
    আয়তন৩,৭৪৭.১৮ বর্গ কিলোমিটার
    সংসদীয় আসন৫টি
    উপজেলা১২টি
    থানা১২টি
    পৌরসভা৪টি
    ইউনিয়ন৮৭টি

    দর্শনীয় স্থান

    • গৌরারং জমিদারবাড়ি
    • ছাতক সিমেন্ট কারখানা
    • ডলুরা শহীদদের সমাধিসৌধ
    • বারেকের টিলা
    • পাইলগাঁও জমিদারবাড়ি
    • সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর
    • হাসন রাজার স্মৃতিবিজড়িত জমিদারবাড়ি
    • শিমুলবাগান
    • নীলাদ্রি লেক
    • হাওলি জমিদারবাড়ি

    বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

    • মহাপ্রভু অদ্বৈত আচার্য
    • ধামাইল নৃত্যের প্রবর্তক কবি রাধারমণ দত্ত
    • মরমি কবি হাসন রাজা
    • বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম
    • বীর প্রতীক কাকন বিবি
    • সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
    • চিত্রশিল্পী ধ্রুব এষ
    • লােকসংগীতশিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরী
    • সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ
    • বিপ্লবী সুহাসিনী দাস

    জলাশয়

    • সুরমা
    • কুশিয়ারা
    • ধামালিয়া
    • যাদুকাটা
    • বাগড়া
    • ডাহুকা
    • সানুয়াডাকুয়া হাওর
    • বাউলী
    • টাঙ্গুয়ার হাওর
    • শনির হাওর
    • মাটিয়ান হাওর
    • দেখার হাওর
    • হালির হাওর
    • কড়চা হাওর
    • আঙ্গরখালী হাওর
    • সােমেশ্বরী
    • শৈল চকরা হাওর
    • হালিয়ার হাওর
    • চন্দ্রসােনার থাল হাওর প্রভৃতি।

    সুনামগঞ্জ জেলাসম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন

  • বারাে ভূঁইয়া : ইতিহাসের গৌরবােজ্জ্বল অধ্যায়

    আফগান শাসনাবসানের পর বাংলা মুঘল সম্রাট আকবরের সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। কিন্তু তিনি বাংলার একটি ক্ষুদ্র অংশের উপর নামমাত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। বাংলার অধিকাংশ অংশে তখন ভূঁইয়া ও আফগান নায়করা। স্বাধীনভাবে রাজত্ব করছিলেন। তখন থেকেই বারাে ভূঁইয়াদের নতুন ও চমকপ্রদ ইতিহাসের সূচনা।

    সময়কাল

    বাংলায় আফগান শাসনামল ও মুঘল শক্তির উত্থানের মধ্যবর্তী। সময়ই ছিল বারাে ভূইয়াদের শাসনকাল। ম্রাট আকবরের রাজত্বের শেষ ২৯ বছর (১৫৭৬-১৬০৫) এবং জাহাঙ্গীরের রাজত্বের প্রথম ছয় বছর (১৬০৫-১৬১১) তৎকালীন দক্ষিণ ও পূর্ব বাংলার প্রকৃত শাসক ছিলেন মূলত তারাই।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    বারাে ভূঁইয়াদের পরিচয়

    ১৫৭৬ সালে সম্রাট আকবর পশ্চিম বাংলা ও উত্তর বাংলার অধিকাংশই দখল করে নেন। কিন্তু দক্ষিণ ও পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) দখল করতে পারেননি। কারণ সেসময় এ অঞ্চলে অনেক আফগান জমিদার, হিন্দু সামন্ত প্রধান, স্থানীয় জমিদার এবং ভূঁইয়ারা স্বাধীনভাবে শাসন করছিল। এসব জমিদারদের নিজস্ব নৌবহর ও সৈন্যদল ছিল। তারা সম্মিলিতভাবে মুঘল আধিপত্যের বিরুদ্ধে ম্রাট আকবরের খ্যাতনামা সমরনায়কদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতেন। এই স্থানীয় শাসকবর্গ মুঘল কেন্দ্রীয় শক্তির অস্তিত্ব অস্বীকার করে ম্রাট আকবরের বাংলা জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিরােধ গড়ে তুলেছিল। ইতিহাসে এই ভূঁইয়ারাই বারাে ভূঁইয়া নামে পরিচিত। সংস্কৃত ভৌমিক শব্দ হতে ভূইয়া শব্দের উৎপত্তি। যার অর্থ জমির মালিক বা জমিদার।

    বারাে ভূঁইয়া বিষয়ক জটিলতা

    বারাে-ভূইয়া শব্দটির অর্থ বারােজন ভূঁইয়া। তবে শব্দটি নির্ভুলভাবে বারােজন ভূঁইয়া বা প্রধানকে বােঝায় না; বহু সংখ্যক বােঝাতে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। বলতে গেলে একপ্রকার ভূঁইয়ারাই বঙ্গদেশকে বা নিম্নবঙ্গের দক্ষিণভাগকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন, এইজন্য বাংলাকে তখন বারাে ভূইয়ার মুলুক বা বারাে ভাটি বাঙ্গালা বলা হতাে।

    কিন্তু তারা সংখ্যায় যে ঠিক বারােজনই ছিলেন, তা বলা যায় একজনের রাজত্বের শেষ সময়ে আরেকজনের রাজত্ব আরম্ভ হয়েছিল অথবা কোনাে প্রধান ভূইয়ার মৃত্যুর পর তার কোনাে বংশধারা নামমাত্র শাসন পরিচালনা করতেন, কিন্তু হিসাবের বেলায় তিনিও বারাে ভূঁইয়ার অন্যতম বলে গণ্য হতেন। বাঙালিদের প্রাত্যহিক জীবনে বেশ কিছু সংখ্যাকে কেন্দ্র করে প্রবাদ-প্রবচনের প্রচলন রয়েছে, যেমন— পাঁচ, দশ, বারাে ইত্যাদি। কিন্তু এ সংখ্যাগুলাে প্রায়ই সুনির্দিষ্ট সংখ্যার অর্থ বহন করে না।

    পাঁচ পীরের পরিচয় থাকলেও পাঁচজন পীরের সঠিক পরিচয় আমরা আজও জানি না। ‘দশচক্রে ভগবান ভূত’ হয় আমরা জানি। কিন্তু আমরা এ প্রবাদের প্রয়ােগ করতে গিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে দশটি চক্রের প্রয়ােগ কখনাে অনুভব করিনি। এইসব দৃষ্টান্ত হতে অধিকাংশ ঐতিহাসিকই মনে করেন যে বারাে ভূঁইয়া আসলে বারােজন। ভূঁইয়ার সমষ্টি নয় এবং তারা যে একই সময়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন তাও নয়। অতএব তৎকালীন অনেক ভূইয়ার সমষ্টিকে বারাে ভূঁইয়া’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

    সীমানা

    বারাে ভূঁইয়াগণ ভাটি অঞ্চলের শাসক ছিলেন। এ ভাটি অঞ্চল বলতে বােঝায় পশ্চিমে ইছামতী নদী, দক্ষিণে গঙ্গানদী, পূর্বে ত্রিপুরা রাজ্য এবং উত্তরে আলপসিংহ পরগনা (বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা), উত্তর-পূর্ব দিকে বানিয়াচং (বৃহত্তর সিলেট)।

    বারাে ইয়াদের নামএলাকার নাম
    ঈসা খান, মুসা খানঢাকা জেলার অর্ধাংশ, প্রায় সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা এবং পাবনা, বগুড়া ও রংপুর জেলার কিছু অংশ
    চাঁদ রায় ও কেদার রায়শ্রীপুর (বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জ)
    বাহাদুর গাজিভাওয়াল
    সােনা গাজিসরাইল (ত্রিপুরার উত্তর সীমায়)
    ওসমান খানবােকাইনগর (সিলেট)
    বীর হামিরবিষ্ণুপুর (বাকুড়া)
    লক্ষণ মাণিক্যভুলুয়া (নােয়াখালী)
    পরমানন্দ রায়চন্দ্রদ্বীপ (বরিশাল)
    বিনােদ রায়, মধু রায়চান্দপ্রতাপ (মানিকগঞ্জ)
    মুকুন্দরাম, সত্রজিৎভূষণা (ফরিদপুর)
    রাজা কন্দর্পনারায়ণ, রামচন্দ্রবরিশাল জেলার অংশবিশেষ
    প্রতাপ আদিত্য রায়যশাের-খুলনা

    বারাে ভূঁইয়াদের কৃতিত্ব

    বাংলাদেশের ইতিহাসে বারাে ভূঁইয়া একটি গৌরবােজ্জ্বল অধ্যায়। এই বারাে ভূইয়ারা ছিলেন বীর যােদ্ধা। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী। মুঘল সাম্রাজ্যের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা প্রতিরােধ গড়ে তুলেছিলেন। মুঘল শাসকদের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তারা ছিলেন সােচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ। তারা কোনাে রাজবংশের সন্তান না হয়েও অদম্য সাহস ও বীরত্বের সঙ্গে বাংলার দক্ষিণ ও পূর্ব অঞ্চলে প্রায় তিন দশক মুঘল আক্রমণ সফলভাবে প্রতিহত করেন।

    দুর্ভেদ্য বাংলায় ব্যর্থ সম্রাট আকবর

    সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে বাংলায় মুঘলদের কর্তৃত্ব ছিল একেবারেই সীমিত এলাকায়, উত্তর ও পশ্চিম বঙ্গের কয়েকটি সেনাছাউনিকে ঘিরে। দক্ষিণ ও পূর্ব বাংলায় ছিল বারাে ভূঁইয়াদের আধিপত্য। বিভিন্ন সময় বারাে ভূঁইয়াদের দমন করার জন্য সম্রাট আকবর বিশেষ মনােযােগ দেন। এজন্য তিনি ১৫৮৩ সালে শাহবাজ খান, ১৫৮৫ সালে সাদিক খান, ১৫৮৬ সালে উজির খান ও ১৫৯৪ সালে রাজা মানসিংহকে বাংলার সুবাদার করে পাঠান। তারা ঈসা খান ও অন্যান্য জমিদারের সাথে বহুবার যুদ্ধ করেন। কিন্তু বারাে ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খানকে সম্পূর্ণ পরাজিত করা সম্ভব হয়নি।

    আকবরের ইসলামবিরােধী কার্যকলাপ এবং তার দ্বীন-ই-ইলাহী নামক নতুন ধর্মমত প্রচারের বিরুদ্ধে। জৌনপুরের কাজী সাহেবের ফতােয়া বাংলার বারাে ভূঁইয়াদের মুঘলবিরােধী প্রতিরােধ সগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। বাংলার পাঠান নায়কগণ ধর্মদ্রোহী সম্রাটের বিরুদ্ধে আরাে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এই ফতােয়া তাদের প্রতিরােধ সংগ্রামে জনসমর্থনের ভিত্তি রচনায়ও সহায়ক হয়। সম্রাট আকবর (১৫৫৬-১৬০৫) তার জীবদ্দশায় সমগ্র বাংলার ওপর মুঘল অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হননি।

    মসনদ-ই-আলা ঈসা খান

    ঈসা খান ছিলেন বাংলার বারাে ভূঁইয়াদের প্রধান। বিখ্যাত মুঘল সেনাপতি মানসিংহ জীবনে দু’ব্যক্তিকে পরাজিত করতে পারেননি— ১. চিতরের রানা প্রতাপ সিং ও ২. ঈসা খান। ১৫৩৭ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল পরগনায় ঈসা। খানের জন্ম। তার পিতা সুলাইমান খান ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল পরগনা ও পূর্ব মােমেনশাহী অঞ্চলের জায়গিরদার। সুলাইমান খানের মৃত্যুর পর বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান দাউদ খান কররানির রাজত্বকালে (১৫৭২-৭৬) ঈসা খান বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করেন অসাধারণ বীরত্বের জন্যে। তিনি অন্যান্য ভূঁইয়াদের নিয়ে মুঘল আক্রমণ প্রতিহত করে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি দেওয়ান ও মসনদ-ই-আলা উপাধিতে ভূষিত হন।

    প্রতাপ আদিত্য রায়

    প্রতাপ আদিত্য রায় (১৫৬১-১৬১১) বাংলার বারাে ভূঁইয়ার অন্যতম প্রতাপশালী শাসক ছিলেন। তিনি তৎকালীন বৃহৎ যশাের অঞ্চলের একচ্ছত্র নৃপতি ছিলেন। বাংলার মধ্যযুগের ইতিহাসে তিনি একজন স্বাধীন হিন্দু রাজা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। শালিখার যুদ্ধ, পাটনার যুদ্ধ, রাজমহলের যুদ্ধ, সপ্তগ্রামের আক্রমণ প্রভৃতি সমরক্ষেত্রে সফল রণকৌশলে মুঘলদের পরাজিত করে বঙ্গভূমির স্বাধীনতা রক্ষা করেন। তার ২৫ বছরের রাজত্বকালের গৌরবগাথা আজও যশােরখুলনা অঞ্চলে বিদ্যমান।

    বারাে ভূঁইয়াদের শাসনাবসান

    সম্রাট জাহাঙ্গীর বাংলার বারাে ভূঁইয়াদের পরাজিত করে এদেশে মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। আর এ দুরূহ কাজটি সম্পন্ন করেন সুবাদার ইসলাম খান (১৬০৮-১৬১৩)। শাসনভার গ্রহণ করেই তিনি বুঝতে পারেন যে, বারাে ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খানের পুত্র মুসা খানকেদমন করতে পারলেই তার পক্ষে অন্যান্য জমিদারদের বশীভূত করা সহজ হবে। সেজন্য তিনি রাজমহল থেকে ঢাকায় রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। বারাে ভূইয়াদের মােকাবিলা করার, জন্য ইসলাম খান শক্তিশালী নৌবহর গড়ে তােলেন। ইসলাম খান ১৬১০ সালে ঢাকায় প্রবেশ করেন। এ সময় থেকে ঢাকা হয় বাংলার রাজধানী। সম্রাটের নাম অনুসারে ঢাকার নাম রাখা হয় জাহাঙ্গীরনগর’।

    ১৬১১ সালে ইসলাম খানের সঙ্গে জমিদারদের যুদ্ধ হয়। শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত মুসা খানের কদম রসুল দুর্গসহ অন্যান্য দুর্গ মুঘলদের অধিকারে আসে। অবস্থার বিপর্যয়ে মুসা খান সােনারগাঁও চলে আসেন। রাজধানী নিরাপদ নয় মনে করে তিনি মেঘনা নদীতে অবস্থিত ইব্রাহিমপুর দ্বীপে আশ্রয় নেন। মুঘল সৈন্যরা সােনারগাঁও অধিকার করে নেন। উপায়ন্তর না দেখে মুসা খান শেষ পর্যন্ত মুঘলদের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। এরপর মুসা খান সম্রাটের অনুগত জায়গিরদার হিসেবে বাকি জীবন অতিবাহিত করেন। মুসা খানের আত্মসমর্পণে অন্যান্য জমিদারগণ নিরাশ হয়ে মুঘল সম্রাটের বশ্যতা স্বীকার করেন। এভাবে বাংলায় বারাে ভূঁইয়াদের শাসনের অবসান ঘটে।

    বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নাবলি

    • বারাে ভূঁইয়াদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ভূঁইয়া কে ছিলেন?— ঈসা খাঁ ।
    • ‘বারাে ভূঁইয়া’ কাদের বলা হতাে?— বড় বড় স্বাধীন জমিদার।
    • বারাে ভূঁইয়া বলা হতাে কোন আমলের জমিদারদের?— মুঘল আমলের।
    • বাংলাদেশে বারাে ভূঁইয়ার অভ্যুত্থান ঘটে— আকবরের সময়ে।
    • Who of the following is one of the ‘Baro Bhuiyans’ of Bengal?— Isa Khan.
    • প্রতাপ আদিত্য কে ছিলেন?— বাংলার বারাে ভূইয়াদের একজন।
    • ঈসা খাঁ কে ছিলেন?— বাংলার বারাে ভূঁইয়াদের একজন।
    • Isa Khan ruled the ‘Bhati region’ of medieval Bengal during the period— 1529-159.
    • বাংলার রাজধানী হিসেবে সােনারগাও এর পত্তন করেছিলেন কে?— ঈসা খা।
    • ঈসা খানের রাজধানী কোথায় অবস্থিত?— সােনারগাঁও।
    • এগারােসিন্ধুর গ্রাম’-এর নামকরণের কারণ হলাে, পূর্বে সেখানে— এগারােটি নদীর সংযােগস্থল ছিল।
    • ঈসা খাঁ নামের সাথে কোন স্থানটি জড়িত?— জঙ্গলবাড়ী।
  • জাতি ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

    জাতি ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন তাদের জন্য লেখাটি খুবই সহায়ক হবে। জাতি, উপজাতি ও নৃগােষ্ঠীর সমন্বয়ে রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। এসবের গঠনকাঠামাে বিষয়ক বিগত পরীক্ষার প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আমাদের এই আয়ােজন।

    https://youtube.com/watch?v=N0p2s0TtSR8%3Ffeature%3Doembed

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    জাতি, উপজাতি ও নৃগােষ্ঠী

    প্রশ্ন : মানব প্রজাতিকে কয়টি নরগােষ্ঠীতে বিভক্ত করা হয়?
    উত্তর : ৪টি।

    প্রশ্ন : পৃথিবীতে নানা জাতি সৃষ্টির কারণ কী?
    উত্তর : ভৌগােলিক।

    প্রশ্ন : আর্যদের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল?
    উত্তর : ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে তৃণভূমি অঞ্চলে।

    প্রশ্ন : আর্য জাতি কোন দেশ থেকে এসেছিল?
    উত্তর : ইরান।

    প্রশ্ন : দক্ষিণ ভারতের আদি অধিবাসীদের কী নামে অভিহিত করা হয়?
    উত্তর : দ্রাবিড়।

    প্রশ্ন :বহুস্বামী বিবাহভিত্তিক পরিবার কোন সমাজে দেখা যায়?
    উত্তর : টোডা উপজাতি।

    প্রশ্ন : ‘আফ্রিদি’ উপজাতি কোথায় বাস করে?
    উত্তর : পাকিস্তান।

    প্রশ্ন : ‘গাের্খা’ কোন দেশের আদি অধিবাসী?
    উত্তর : নেপাল।

    প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসীদের নাম কী?
    উত্তর : রেড ইন্ডিয়ান।

    প্রশ্ন : নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের কী বলা হয়?
    উত্তর : মাউরি ।

    প্রশ্ন : দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান অধিবাসীদের নাম কী?
    উত্তর : জুলু।

    প্রশ্ন : চীনের কোন প্রদেশটি মুসলিম অধ্যুষিত?
    উত্তর : জিনজিয়াং।

    প্রশ্ন : উইঘুর হলাে—
    উত্তর : চীনের একটি মুসলিম সম্প্রদায়ের নাম।

    প্রশ্ন : চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী প্রধান মুসলিম সম্প্রদায়ের নাম কী?
    উত্তর : উইঘুর ।

    প্রশ্ন : আফগানিস্তানের কোন জাতিগােষ্ঠীর সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ?
    উত্তর : পশতুন।

    প্রশ্ন : বেদে যাযাবর জাতির আসল বা আদি নাম কী?
    উত্তর :মনতং।

    প্রশ্ন : বুশম্যান’ উপজাতি কোথায় বাস করে?
    উত্তর : বতসােয়ানা।

    প্রশ্ন : রুয়ান্ডায় ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত দুইটি প্রধান উপজাতির একটি হলাে টুটসি অপরটির নাম কী?
    উত্তর : হুটু।

    প্রশ্ন : এস্কিমােরা শিকারের জন্য কুকুর | চালিত যে গাড়ি ব্যবহার করে তার নাম—
    উত্তর : স্লেজ।

    রাষ্ট্র ও জাতিরাষ্ট্র

    প্রশ্ন : রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?
    উত্তর : এরিস্টটল।

    প্রশ্ন : সেন্ট অগাস্টিন, সেন্ট একুইনাস, ফিলমা এবং ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কিত কোন মতবাদের সমর্থক ছিলেন?
    উত্তর : ঐশ্বরিক মতবাদ।

    প্রশ্ন : আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?
    উত্তর : ম্যাকিয়াভেলী।

    প্রশ্ন : ‘The Social Contract’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
    উত্তর : রুশাে।

    প্রশ্ন : আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা উদ্ভবের সময়কাল কোনটি?
    উত্তর : ১৬০০-১৮০০ সাল।

    প্রশ্ন : ‘The Modern State’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
    উত্তর : আর. এম. ম্যাকাইভার।

    প্রশ্ন : নৈরাজ্য যে তত্ত্বের মূল উপাদান সেটি হচ্ছে-
    উত্তর : বাস্তববাদ।

    প্রশ্ন : জিরােসাম গেম আন্তর্জাতিক সম্পর্কে কোন তত্ত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট?
    উত্তর : বাস্তববাদ।

    প্রশ্ন : জাতি রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি কী?
    উত্তর : জাতীয়তাবাদ।

    রাষ্ট্রের উপাদান ও কার্যাবলি

    প্রশ্ন : রাষ্ট্র কয়টি উপাদান নিয়ে গঠিত?
    উত্তর : চারটি।

    প্রশ্ন : রাষ্ট্রের প্রথম ও প্রধান উপাদান কোনটি?
    উত্তর : জনসমষ্টি।

    প্রশ্ন : রাষ্ট্র গঠনে কোনটি অপরিহার্য উপাদান?
    উত্তর : সরকার।

    প্রশ্ন : সরকার রাষ্ট্র গঠনের কততম উপাদান?
    উত্তর : তৃতীয়।

    প্রশ্ন : রাষ্ট্রের মুখপাত্র কে?
    উত্তর : সরকার।

    প্রশ্ন : কয়টি বিভাগ নিয়ে সরকার গঠিত?
    উত্তর : ৩টি।

    প্রশ্ন : আমলাতন্ত্রের প্রধান প্রবক্তা কে?
    উত্তর : ম্যাক্স ওয়েবার।

    প্রশ্ন : Persona-Non-Grata শব্দ সমষ্টি যে বিশেষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযােজ্য
    উত্তর : কুটনীতিবিদ।

    প্রশ্ন : হাইকমিশনার ও অ্যাম্বাসেডরের মধ্যে পার্থক্য কী?
    উত্তর : প্রথমজন কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ও অপরজন কমনওয়েলথ বহির্ভূত রাষ্ট্রের প্রতিনিধি।

    প্রশ্ন : রাষ্ট্রের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোনটি?
    উত্তর : সার্বভৌমত্ব।

    প্রশ্ন : পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র পূর্ণ সার্বভৌমত্বহীন?
    উত্তর : ফিলিস্তিন।

    প্রশ্ন : রাষ্ট্রের উপাদান নয় কোনটি?
    উত্তর : আইনের শাসন।

    প্রশ্ন : রাষ্ট্রের কার্যাবলিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
    উত্তর : দুই।

    প্রশ্ন : রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজ কোনটি?
    উত্তর : শিক্ষা বিস্তার করা।

    রাষ্ট্রের শ্রেণিবিভাগ

    প্রশ্ন : ল্যাটিন ‘সিভিটাস’ শব্দের অর্থ
    উত্তর : নগররাষ্ট্র।

    প্রশ্ন : গ্রিক ‘Polis’ শব্দটির অর্থ—
    উত্তর : নগররাষ্ট্র।

    প্রশ্ন : এশিয়ার নগর রাষ্ট্র কোনটি?
    উত্তর : সিঙ্গাপুর।

    প্রশ্ন : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের জনক কে?
    উত্তর : উইলিয়াম বেভারিজ।

    প্রশ্ন : A state where all religions are respected is__in nature.
    উত্তর : Secular

    প্রশ্ন : State in which the few govern the many
    উত্তর : Oligarchy!

    প্রশ্ন : দুই বা ততােধিক প্রতিদ্বন্দ্বী বৃহৎ শক্তিসমূহের মাঝখানে অবস্থিত দেশকে বলা হয়—
    উত্তর : বাফার রাষ্ট্র।

    প্রশ্ন : A Vassal State is the one which is-
    উত্তর : Under the Suzerainty of another state.

    নাগরিক ও নাগরিকত্ব

    প্রশ্ন : জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব অর্জনের পদ্ধতি কোনটি?
    উত্তর : জন্মনীতি ও জন্মস্থান।

    প্রশ্ন : কোন দেশে নাগরিকত্ব অর্জনে জন্মস্থান নীতি অনুসৃত হয়?
    উত্তর : আমেরিকা।

    প্রশ্ন : রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদের প্রধান কর্তব্য—
    উত্তর : আনুগত্য প্রকাশ করা।

    প্রশ্ন : ভােটদানের অধিকার কোন ধরনের অধিকার?
    উত্তর : রাজনৈতিক অধিকার।

    প্রশ্ন : বিশ্বের কোন দেশে ভােট দেওয়া বাধ্যতামূলক?
    উত্তর : অস্ট্রেলিয়া।

    সরকার কাঠামাে

    প্রশ্ন : সংসদীয় গণতন্ত্রে শাসন বিভাগের সকল ক্ষমতা কার কাছে ন্যস্ত থাকে?
    উত্তর :প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

    প্রশ্ন : A person who rules without consulting other
    উত্তর : Autocrat।

    প্রশ্ন : ‘গণতন্ত্র শ্রেষ্ঠ ও উৎকৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা’ উক্তিটি কার?
    উত্তর : মিল।

    প্রশ্ন : ‘If there is no opposition, there is no democracy’ উক্তিটি কে করেছিলেন?
    উত্তর : আইভর জেনিংস।

    প্রশ্ন : গণতন্ত্রের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোনটি?
    উত্তর : নির্বাচন।

    প্রশ্ন : প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মূলভিত্তি কোনটি?
    উত্তর : রাজনৈতিক দল।

    প্রশ্ন :প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিকল্প সরকার বলতে কী বোঝায়?
    উত্তর : বিরােধী দল।

    প্রশ্ন : কোন দেশকে গণতন্ত্রের সূতিকাগার বলা হয়?
    উত্তর : গ্রিস।

    প্রশ্ন : কোন দেশকে আধুনিক গণতন্ত্রের সূতিকাগার বলা হয়?
    উত্তর : ব্রিটেন/যুক্তরাজ্য।

    প্রশ্ন : কোন দেশে সর্বপ্রথম সরাসরি গণতন্ত্র চালু হয়েছিল?
    উত্তর : সুইজারল্যান্ড।

    প্রশ্ন : কোন দেশে প্রাচীনতম গণতন্ত্র প্রচলিত আছে?
    উত্তর : ব্রিটেন/যুক্তরাজ্য।

    প্রশ্ন : কোন দেশকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা হয়?
    উত্তর : ভারত।

    প্রশ্ন : নির্বাচনে প্রতিনিধি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভােটদাতাগণ নিজের পছন্দ প্রকাশের জন্য যে পত্র ব্যবহার করে তাকে কী বলে?
    উত্তর : ব্যালট পেপার।

    প্রশ্ন : ‘বুলেটের চাইতে ব্যালট শক্তিশালী উক্তিটি কার?
    উত্তর : আব্রাহাম লিংকন।

    প্রশ্ন : কোন দেশের মহিলারা সর্বপ্রথম ভােটাধিকার লাভ করে?
    উত্তর : নিউজিল্যান্ড।

    প্রশ্ন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা কোন সালে ভােটাধিকার পান?
    উত্তর : ১৯২০।

    প্রশ্ন : ২০০২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশের মহিলারা প্রথমবারের মতাে ভােটাধিকার লাভ করে?
    উত্তর : বাহরাইন।

    প্রশ্ন : EVM বলতে কী বােঝায়?
    উত্তর : ইলেকট্রনিক ভােটিং মেশিন।

    প্রশ্ন : সর্বপ্রথম কোন দেশ নির্বাচনে ই-ভােটিং ব্যবহার করে?
    উত্তর : এস্তোনিয়া।

    প্রশ্ন : ‘ম্যানিফেস্টো ‘ কী?
    উত্তর : রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

  • বিসিএস প্রস্তুতি (Bcs Preparation) : প্রশ্নোত্তরে একাত্তর (১৯৭১)

    বিসিএস প্রস্তুতি (Bcs Preparation) : প্রশ্নোত্তরে একাত্তর (১৯৭১)

    বিসিএস প্রস্তুতি (Bcs Preparation) : প্রশ্নোত্তরে একাত্তর (১৯৭১) নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন তাদের জন্য লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। তো চলুন লেখাটি পড়ে নেয়া যাক-

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    bcs question online preparation

    বিসিএস প্রস্তুতি (Bcs Preparation) : প্রশ্নোত্তরে একাত্তর (১৯৭১)

    ১. ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা সন ও তারিখ কত?
    উত্তর : ১৩৭৮ সালের ২৯ অগ্রহায়ণ, বৃহস্পতিবার।

    ২. জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস কবে?
    উত্তর : ৭ মার্চ।

    ৩. বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত হতাে কী নামে?
    উত্তর : বজ্রকণ্ঠ।

    ৪. অপারেশন সার্চলাইটের পূর্বনাম কী?
    উত্তর : অপারেশন ব্লিজ।

    ৫. বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে সামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার ষড়যন্ত্র
    উত্তর : অপারেশন ব্লিজ।

    ৬. জাতীয় গণহত্যা দিবস কবে?
    উত্তর : ২৫ মার্চ।

    ৭. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টবঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘােষক হিসেবে রায় প্রদান করেন কবে?
    উত্তর : ২০০৯ সালের ২১ জুন।

    ৮. ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার অভিযানের কোডনাম কী ছিল?
    উত্তর : অপারেশন বিগবার্ড।

    ৯. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূচনা সংগীত হিসেবে প্রচারিত হতাে কোন গান?
    উত্তর : জয় বাংলা, বাংলার জয়।

    ১০. ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটির গীতিকার কে?
    উত্তর : গাজী মাজহারুল আনােয়ার।

    ১১. ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটির সুরকার কে?
    উত্তর : আনােয়ার পারভেজ।

    ১২. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘চরমপত্র পাঠ করতেন কে?
    উত্তর : এম আর আখতার মুকুল।

    ১৩. ‘জল্লাদের দরবার’ অনুষ্ঠানে ‘কেল্লা ফতে খান’ বলতে কাকে বােঝানাে হতাে?
    উত্তর : ইয়াহিয়া খান।

    ১৪. কলকাতার কোথায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কার্যালয় স্থাপিত হয়?
    উত্তর : বালিগঞ্জ সার্কুলার রােডের ৫৭/৮ নম্বর দোতলা বাড়ি।

    ১৫. মুজিবনগর (প্রবাসী) সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় ছিল কোথায়?
    উত্তর : কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রােড।

    ১৬. মুজিবনগর সরকারের মােট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ছিল কতটি?
    উত্তর : ১৫টি।

    ১৭. মুজিবনগর সরকারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শ্রম বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন কে?
    উত্তর : তাজউদ্দীন আহমদ।

    ১৮. মুজিবনগর সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব কারও ওপর ন্যস্ত হয়নি, সেসব বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কে ছিলেন?
    উত্তর : তাজউদ্দীন আহমদ।

    ১৯. মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার মােট সদস্য ছিলেন কতজন?
    উত্তর : ৬ জন।

    ২০. মুজিবনগর সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন কে?
    উত্তর : এ এইচ এম কামারুজ্জামান।

    আরো পড়ুন : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র

    ২১. মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ কমান্ডাে বাহিনীর প্রথম অভিযান অপারেশন জ্যাকপট কবে পরিচালিত হয়?
    উত্তর : ১৫ ও ১৬ আগষ্ট ১৯৭১।

    ২২. পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আকাশপথে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম সফল অভিযানের নাম কী?
    উত্তর : অপারেশন কিলাে ফ্লাইট।

    ২৩. বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কর্তৃক অপারেশন কিলাে ফ্লাইট কবে, কোথায় পরিচালিত হয়?
    উত্তর : ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে।

    ২৪. আয়তনে সবচেয়ে বড় সেক্টর ছিল কোনটি?
    উত্তর : ১ নম্বর সেক্টর।

    ২৫. মুক্তিযুদ্ধে স্বতন্ত্র বাহিনী হিসেবে হেমায়েত বাহিনী গড়ে ওঠে কোন অঞ্চলে?
    উত্তর : গােপালগঞ্জ ও বরিশাল।

    ২৬. মুজিব ব্যাটারি কী?
    উত্তর : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের গােলন্দাজ বাহিনী।

    ২৭. শহীদজননী জাহানারা ইমামের ছেলে শাফী ইমাম রুমী কোন বাহিনীর সদস্য ছিলেন?
    উত্তর : ক্র্যাক প্লাটুন।

    ২৮. ক্র্যাক প্লাটুনের আক্রমণের পদ্ধতি কী ছিল?
    উত্তর : হিট অ্যান্ড রান।

    ২৯. ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক ভারতীয় বিমানবাহিনীর ওপর পরিচালিত বিমান হামলার কোডনাম কী? উত্তর : অপারেশন চেঙ্গিস খান।

    ৩০. মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা কোনটি?
    উত্তর : যশাের।

    ৩১. মুক্তিযুদ্ধে সর্বশেষ শত্রুমুক্ত এলাকা কোনটি?
    উত্তর : মিরপুর, ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২।

    ৩২. সর্বনিম্ন কত বছর বয়স হলে মুক্তিযােদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন?
    উত্তর : ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর বা তার আগে কমপক্ষে ১২ বছর ৬ মাস।

    ৩৩. ব্রিগেডিয়ার জামিল আহমেদকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয় কত সালে?
    উত্তর : ২০১০ সালে।

    ৩৪. ব্রিগেডিয়ার জামিল আহমেদকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয় কেন?
    উত্তর : ১৯৭৫ সালের অভ্যুত্থানের সময় বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন।

    ৩৫. মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনির খেতাব বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই চার খুনি কারা?
    উত্তর : শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম), নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম), রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক) ও মােসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক)।

    ৩৬. ১৬ জন সেক্টর কমান্ডারের মধ্যে বীরত্বপূর্ণ কোনাে খেতাব পাননি কতজন?তারা কারা?
    উত্তর : ৩ জন। লেফট্যানেন্ট কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর নাজমুল হক ও মেজর জলিল।

    ৩৭. বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান কর্তৃক ছিনতাই করা পাকিস্তান বিমানবাহিনীর টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমানটির ছদ্মনাম কী ছিল?
    উত্তর : ব্লু বার্ড ১৬৬।

    ৩৮. বীর প্রতীক তারামন বিবি কোন বাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং কত নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
    উত্তর : গণবাহিনীর সদস্য ছিলেন। ১১নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন।

    ৩৯ :মুক্তিযুদ্ধকালে মেঘালয়ে বাংলাদেশ মেডিকেলের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কে?
    উত্তর : ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম।

    ৪০. সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযােদ্ধা শহীদুল ইসলাম লালু কোন অঞ্চলে যুদ্ধ করেন?
    উত্তর : টাঙ্গাইলের গােপালপুরে।

    আরো পড়ুন : মুক্তিযুদ্ধের দিনলিপি সেপ্টেম্বর ১৯৭১

    ৪১. মুক্তিযােদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া মােট বীরাঙ্গনার সংখ্যা কত?
    উত্তর : ৪৩৮।

    ৪২. মুক্তিবেটি নামে পরিচিত ছিলেন কে?
    উত্তর : কাঁকন বিবি।

    ৪৩. কনসার্ট ফর বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ সংগৃহীত হয়?
    উত্তর : ৪৩ হাজার ৪১৮ দশমিক ৫০ ডলার।

    ৪৪. মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য গড়ে ওঠে রাজাকার বাহিনী। রাজাকার কোন ভাষার শব্দ এবং এর অর্থ কী?
    উত্তর : ফারসি শব্দ। এর অর্থ স্বেচ্ছাসেবী।

    ৪৫. মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্যতম প্রতিষ্ঠান
    উত্তর : বিবিসি, আকাশবাণী, রেডক্রস।

    ৪৬. ‘একাত্তরের চিঠি’ মুক্তিযােদ্ধাদের পত্রসংকলনটি সংকলিতওপ্রকাশিত হয় কোন কোন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে?
    উত্তর : গ্রামীণফোন ও প্রথম আলাে।

    ৪৭. বঙ্গবন্ধু কোন কোম্পানিতে চাকরি করতেন?
    উত্তর : আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে।

    ৪৮. ছয় দফা দিবস কবে?
    উত্তর : ৭ জুন।

    ৪৯. ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসন থেকে জয়লাভ করেন?
    উত্তর : ১১১ নম্বর ঢাকা-৮।

    ৫০. অপারেশন ক্লোজডাের কী?
    উত্তর : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর অবৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার অভিযান।

  • ১৯৭১ : দ্য শিলিগুড়ি কনফারেন্স’ : মুক্তিযুদ্ধের অনুদঘাটিত এক দলিল

    ১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ জুলাই ভারতের শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলন গতিময় করেছিল মুক্তিযুদ্ধকে। এ নিয়ে বই প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। লেখক : মতিউর রহমান (সম্পাদক)। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ রাজধানী ঢাকায় প্রথমা প্রকাশনের উদ্যোগে ১৯৭১: দ্য শিলিগুড়ি কনফারেন্স’ বইয়ের মােড়ক উন্মােচিত হয়।

    শিলিগুড়ি কনফারেন্সের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার অজিত কুমার মিত্র, যিনি এ কে মিত্র নামে পরিচিত। তিনি আর তার দুই সহযােগী মিলে শিলিগুড়ি কনফারেন্সে কথা বলেছিলেন মুক্তিযােদ্ধা, প্রবাসী সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    তাদের সঙ্গে আলােচনার পর এ কে মিত্র ও তাঁর দুই সহযােগী মিলে তৈরি করেন একটি দলিল। সেই দলিলের কথা এত দিন আড়ালেই ছিল। এ কে মিত্র মারা যান ২০০৪ সালে। তাঁর মৃত্যুর এক যুগের বেশি সময় পর পুরােনাে কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে সেই দলিল বা প্রতিবেদন খুঁজে পান তাঁর ছেলে দেবাশীষ মিত্র।

    ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ১১৯ পৃষ্ঠার এই বইয়ে স্থান। পেয়েছে সে সময়ের কাজের পরিকল্পনা, প্রথম গােপন বৈঠকের বর্ণনা। এর সঙ্গে রয়েছে আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরীর বক্তব্য, লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এ মজুমদার এবং ক্যাপ্টেন এ ডি সার্ভের দেওয়া প্রতিবেদন।

    বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন : 

    ১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ জুলাই ভারতের শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত কনফারেন্স ছিল মুক্তিযুদ্ধের মােড় ঘােরানাের মতাে ঘটনা। ১৯৭১ সালের মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তিযােদ্ধাদের প্রতিদিনের খাবার, ওষুধ জোগাড়সহ বিভিন্ন ধরনের চাহিদা বাড়তে থাকে।

    একই সঙ্গে মুক্তিযােদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং তা চালিয়ে নেওয়ার প্রয়ােজনীয়তাও বাড়ছিল। তখন শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়েও চাপের মুখে পড়ে ভারত সরকার। এ রকম নানা কারণে যুদ্ধের গতি কিছুটা ধীর হতে শুরু করে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে মতান্তর ঘটছিল প্রবাসী সরকারের মধ্যেও।

    এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হয় শিলিগুড়ি সম্মেলন (কনফারেন্স), যেখানে অংশ নিয়েছিলেন প্রবাসী সরকারের সদস্য, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ ৪০০ জন প্রতিনিধি। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া সমন্বয় গতিময় করেছিল মুক্তিযুদ্ধকে।

  • মৌলভীবাজার জেলার নামকরণ, ইতিহাস, দর্শনীয় স্থান, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি

    মৌলভীবাজার বাংলাদেশের উত্তর- পূর্বাংশে অবস্থিত একটি জেলা। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার এই জেলা সিলেট বিভাগের অন্তর্গত। মনােরম চা-বাগান, হাওর, ক্ষুদ্র জাতিগােষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সবুজের সমারােহে এই জেলা অনন্য। মৌলভীবাজারের উত্তরে সিলেট জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলা অবস্থিত।

    নামকরণ ও ইতিহাস

    কথিত আছে, সৈয়দ শাহ মােস্তফা (রহ.)-এর ভ্রাতুস্পুত্র হজরত ইয়াছিন (রহ.)-এর উত্তরপুরুষ মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ মনু নদের তীরে ১৮১০ খ্রিষ্টাব্দে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সহজে যাতায়াতব্যবস্থার কারণে সেই বাজার কালক্রমে প্রসিদ্ধি লাভ করে। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দের ১ এপ্রিল মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাজারটিকে কেন্দ্র করে ২৬টি পরগনা নিয়ে দক্ষিণ শ্রীহট্ট মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে দক্ষিণ শ্রীহট্ট বা সাউথ সিলেট নামের বদলে এ মহকুমার নাম মৌলভীবাজার রাখা হয়। ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    সংস্কৃতি

    এই অঞ্চলের লােকজ সংস্কৃতির মধ্যে রাসনৃত্য, মণিপুরিদের বিষু উৎসব, চড়কপূজা, ধামাইলগান, সারিগান, বান্ধাগান প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র জাতিগােষ্ঠীর মধ্যে মণিপুরি, খাসিয়া, ত্রিপুরা, হালাম উল্লেখযােগ্য।

    বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন 

    চা-বাগান

    চা-বাগানের জন্য বিখ্যাত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলকে বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী বলা হয়। মৌলভীবাজার জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। চা-বাগানের নজরকাড়া সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক এই জেলায় ভিড় করেন।

    দর্শনীয় স্থান

    • হজরত শাহ মােস্তফা (রহ.)-এর মাজার
    • বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ
    • বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক
    • হামহাম জলপ্রপাত
    • বাইক্কা বিল
    • মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
    • মাধবপুর লেক
    • হাকালুকি হাওর
    • হাইল হাওর
    • লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
    • বাংলাদেশ চা-গবেষণা ইনস্টিটিউট, শ্রীমঙ্গল
    • মনু ব্যারাজ
    • বধ্যভূমি ৭১
    • ছয় সিঁড়ি দিঘি।
    • কমলা রানীর দিঘি
    • মুরাইছড়া ইকোপার্ক
    • রবারবাগান ও টিলা
    • মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি ও গ্যাসকূপ

    প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

    • সৈয়দ মুজতবা আলী
    • সৈয়দ মুর্তাজা আলী
    • সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান
    • জাতীয় অধ্যাপক রঙ্গলাল সেন
    • সাংবাদিক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য
    • বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা
    • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগ
    • পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন

    নদ-নদী

    • মনু নদ
    • ধলাই নদ
    • ফানাই নদ
    • সােনাই নদ
    • জুড়ী নদী
    • কন্টিনালা নদী
    • বিলাম নদ

    মৌলভীবাজার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

    • মৌলভীবাজার মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়— ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪।
    • চায়ের রাজ্যখ্যাত মৌলভীবাজারের জেলা ব্র্যান্ডিং হলাে— চা।
    • মৌলভীবাজার জেলায় চা-বাগানের সংখ্যা— ৯২ (জেলা হিসেবে সর্বোচ্চ)।
    • বন্য প্রাণীর উত্তম আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত অন্যতম জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়া অবস্থিত— মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায়।
    • পাথারিয়া পাহাড়ের মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত অবস্থিত— মৌলভীবাজারের বড়লেখায়।
    • বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ অবস্থিত— মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায়।
    • মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) প্রতিষ্ঠিত— ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭।
  • বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী

    বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী

    বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিসিএস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন তাদের জন্য লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী

    প্রশ্ন : বর্তমান বৃহত্তর ঢাকা জেলা প্রাচীনকালে অন্তর্ভুক্ত ছিল
    উত্তর : বঙ্গ জনপদের।

    প্রশ্ন : জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, খানাপ্রতি গড় সদস্য
    উত্তর : ৪.০।

    প্রশ্ন : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু মূল টানেলের দৈর্ঘ্য
    উত্তর : ৩ দশমিক ৪০ কিলােমিটার।

    প্রশ্ন : প্রাচীন জনপদ পুণ্ড্রনগর মৌর্য শাসনামলে রাজধানী ছিল
    উত্তর : সম্রাট অশােকের রাজত্বকালে।

    প্রশ্ন : ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দের পরিমাণ
    উত্তর : ২,৪৬,০৬৬ কোটি টাকা।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে মূল্য সংযােজন কর (ভ্যাট) প্রথম প্রবর্তিত হয়
    উত্তর : ১ জুলাই ১৯৯১।

    প্রশ্ন : ইউএনডিপির মানব উন্নয়নসূচক ২০২১-২২-এ বিশ্বের ১৯১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান
    উত্তর : ১২৯তম।

    প্রশ্ন : গাজী মাজহারুল আনােয়ার প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক লাভ করেন
    উত্তর : ১৯৭২ সালে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক চা-বাগান
    উত্তর : মালনীছড়া, সিলেট।

    প্রশ্ন : আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র জারি করা হয়
    উত্তর : ১০ এপ্রিল ১৯৭১।

    প্রশ্ন : কঠিন চীবর দান ধর্মীয় অনুষ্ঠানবিশেষ হলাে
    উত্তর : বৌদ্ধধর্মের।

    প্রশ্ন : সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় দেশে বর্তমানে টিকা দেওয়া হয়
    উত্তর : ১০ ধরনের।

    প্রশ্ন : উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উড়ালপথের দৈর্ঘ্য
    উত্তর : ২০ দশমিক ১০ কিলােমিটার।

    প্রশ্ন : জিটুজি ভিত্তিতে জাপানের প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল অবস্থিত
    উত্তর : বাংলাদেশের-নারায়ণগঞ্জে।

    প্রশ্ন : জাতীয় পর্যায়ে গৌরবােজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ লাভ করেন
    উত্তর : ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান।

    এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন :

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সদস্যপদ লাভ করে
    উত্তর : ১৭ মে ১৯৭২।

    প্রশ্ন : জাতীয় সংসদের সদস্যপদ বাতিল হয় সর্বোচ্চ
    উত্তর : ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যান্স জারি হয়
    উত্তর : ১৯৭৬ সালে।

    প্রশ্ন : এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক মৎস্য | প্রজননকেন্দ্র
    উত্তর : হালদা নদী।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের কৃষিতে বর্ণালী ও শুভ্রা হলাে
    উত্তর : উন্নত জাতের ভুট্টা।

    প্রশ্ন : বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে স্বদেশি আন্দোলনের নেতৃত্ব দান করেন
    উত্তর : সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    প্রশ্ন : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় প্রদত্ত ভাষণের
    উত্তর : ৪৮তম বার্ষিকী উদ্যাপিত হয়।

    প্রশ্ন : জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট | (নিপাের্ট) প্রতিষ্ঠিত হয়
    উত্তর : ১৯৭৭ সালে।

    প্রশ্ন : সারা দেশে সর্বজনীন বাধ্যতামূলক শিক্ষা চালু | হয়
    উত্তর : ১ জানুয়ারি ১৯৯৩

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের বদ্বীপ পরিকল্পনাটি প্রণীত হয়েছে
    উত্তর : নেদারল্যান্ডসের বদ্বীপ পরিকল্পনার আলােকে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে বর্তমানে ইপিজেডের সংখ্যা
    উত্তর : ১০।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে পােশাক খাতে বর্তমান পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা
    উত্তর : ১৭১।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
    উত্তর : ৭ এপ্রিল ১৯৭৩

    প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ ও তৈরি করবে
    উত্তর : গ্লাকসমস, রাশিয়া।

    প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে RTC- এর পূর্ণরূপ
    উত্তর : Round Table Conference

    প্রশ্ন : মুজিব একটি জাতির রূপকার বায়ােপিক চলচ্চিত্রের পরিচালক
    উত্তর : শ্যাম বেনেগাল।

    প্রশ্ন : সাঙ্গু নদের উৎপত্তি
    উত্তর : আরাকান পাহাড় থেকে।

  • জাতীয় গ্রিড বিদ্যুৎ বিধায়ক

    গ্রিড (Grid) অর্থ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য থামবাহিত বৈদ্যুতিক তারজালি। বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ একই জায়গায় যুক্ত করা হয়, যা জাতীয় গ্রিড নামে পরিচিত। এই জাতীয় গ্রিড দেশের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গ্রিড সাবস্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়।

    এই গ্রিড সাবস্টেশন এবং জাতীয় গ্রিড দুটোরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (PGCB)-এর হাতে। বাংলাদেশে বিদ্যুতের বড় বড় খুঁটির ওপর যে তিন ধরনের তার দেখা যায় তাতে তিন মাত্রার বিদ্যুৎ পরিবহন করা হয়। ৪০০ কেভি, ২৩০ কেভি এবং ১৩২ কেভির বিদ্যুৎ।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    জাতীয় গ্রিড বিপর্যয় কেন হয়?

    গ্রিড বিপর্যয়ের প্রধান কারণ হচ্ছে চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের ভারসাম্য না থাকা। অর্থাৎ কখনও চাহিদা রয়েছে ১০,০০০ মেগাওয়াটের, কিন্তু উৎপাদন হঠাৎ ৮,০০০ মেগাওয়াটে নেমে গেলাে, অথবা বেড়ে ১২,০০০ মেগাওয়াটে উঠে গেলাে। এরকম হলে বিদ্যুৎ প্রবাহের তরঙ্গে বিঘ্ন ঘটে, সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়।

    এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

    এছাড়াও সঞ্চালন লাইন বা সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতা, ফ্রিকোয়েন্সিতে ভারসাম্যজনিত তারতম্য, ট্রান্সমিশন ও সরবরাহ লাইনে মানহীন যন্ত্রপাতি ব্যবহার, গ্রিডের সঙ্গে গ্রিড কোডের নির্দেশনার সমন্বয়, চাহিদার সঙ্গে লােডের সমন্বয় না হওয়া, ফোনে ফোনে লােড ব্যবস্থাপনা, মানহীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়। একবার গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলাে আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হলে কারিগরি কারণে সেটি চালু হতে সময় লাগে।

    PGCB

    পূর্ণরূপPower Grid Company of Bangladesh Ltd.
    যার অধীনবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন।
    প্রতিষ্ঠা২১ নভেম্বর ১৯৯৬।
    দায়িত্বজাতীয় গ্রিড দক্ষতার সাথে পরিচালনা ও সম্প্রসারণ।

    বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ইতিহাস

    বাংলাদেশে জাতীয় গ্রিড বন্ধ হয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় নতুন নয়। ১৯৯০-২০২২ সাল পর্যন্ত অসংখ্যবার নানা মাত্রায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। এর আগেও ছােট-খাটো গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। আর এসকল বিপর্যয়ের জন্য দুর্বল গ্রিডকে দায়ী করা হয়।

    দেশে উল্লেখযােগ্য ব্ল্যাক আউট
    তারিখপরিব্যাপ্ত এলাকাসময়কাল
    ৪ অক্টোবর ২০২২ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলা৬-৮ ঘন্টা
    ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা।প্রায় দেড় ঘন্টা
    ৩ মে ২০১৭উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমের ৩২টি জেলাকয়েক ঘণ্টা
    ১ নভেম্বর ২০১৪সারা দেশে১২ ঘন্টা

    গ্রিড সাবস্টেশন

    উৎপাদন কেন্দ্র থেকে আগত বিদ্যুৎকে নিয়ন্ত্রণ, রূপান্তর, সঞ্চালন ইত্যাদির জন্য প্রয়ােজনীয় অবকাঠামাে সংবলিত যন্ত্রপাতির সমাবেশকে গ্রিড সাবস্টেশন বলে।

    ব্ল্যাক আউট

    ব্ল্যাক আউট হলাে স্থানীয় কোনাে বিপর্যয়ের কারণে পুরাে গ্রিড অকার্যকর হয়ে পড়া। এতে বিস্তৃত এলাকার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন।

    গ্রিড ট্রিপ

    যখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপজ্জনকভাবে বেশি হয়, তখন বিদ্যুৎ প্রবাহ পাওয়ার গ্রিডের অংশগুলােতে সার্কিট ব্রেকারের মতাে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়, একে গ্রিড ট্রিপ বলে।

    স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তি

    প্রচলিত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সঙ্গে ডিজিটাল ও তথ্য-প্রযুক্তি সংযােগ ঘটানাের নামই হচ্ছে। স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম দুটি বিদ্যুৎ কোম্পানিকে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেমে রূপান্তরিত করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনকেসফট কর্পোরেশন। একটি হচ্ছে, টাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (DPDC)। অন্যটি দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (WZPDC)। স্মার্ট গ্রিডের আওতায় বিদ্যুৎ জেনারেশন হাউজ থেকে গ্রাহকের বাড়ি পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনে কোথায় কত ভােল্টেজ প্রয়ােজন, কত সরবরাহ হচ্ছে, দুর্বল লাইন, দুর্বল ট্রান্সফর্মার, দুর্বল খুঁটি এমন অনেক সমস্যা আগে থেকেই চিহ্নিত করা যাবে।

    বিবিধ তথ্য

    • ১৭ জানুয়ারি ২০২০ সিলেটে দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন উদ্বােধন করা হয়। হযরত শাহজালাল (র) দরগাহ শরীফে প্রথমে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন সরবরাহ করা হয়।
    • ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (WEF) কর্তৃক সর্বশেষ প্রকাশিত এনার্জি আর্কিটেকচার পারফরম্যান্স ইনডেক্স-২০১৭’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে বিদ্যুতের কাঠামােগত দক্ষতা সূচকে বিশ্বের ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪তম।
    • ডিসেম্বর ২০২০-এ ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলেও সঞ্চালন লাইন নির্মিত না হওয়ায় এখনাে তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
    • বাংলাদেশে লােডশেডিং কাজটি National Load Dispatch Centre (NLDPC)- এর মাধ্যমে করা হয়।
  • General Knowledge Bangladesh Affairs || সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী

    প্রশ্ন : বাংলায় হুসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
    উত্তর : আলাউদ্দীন হুসেন শাহ।

    প্রশ্ন : আর্যজাতির আদি বাসস্থান কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর : ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে তৃণভূমি অঞ্চলে।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    প্রশ্ন : প্রাচীনকালে প্রাক-আর্য জনগােষ্ঠীর শাখা ছিল চারটি কি কি?
    উত্তর : অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, নেগ্রিটো ও ভােটচীনীয়।

    প্রশ্ন : লর্ড ক্লাইভকে ‘তস্কর চূড়ামণি’ বলে অভিহিত করেন কে?
    উত্তর : কার্ল মার্কস।

    প্রশ্ন : রাজা পঞ্চম জর্জ বঙ্গভঙ্গ বাতিলের ঘােষণা দেন কখন ?
    উত্তর : ১২ ডিসেম্বর ১৯১১।

    প্রশ্ন : ১৩৫০ বঙ্গাব্দে (১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে) সংঘটিত দুর্ভিক্ষ কি নামে পরিচিত?
    উত্তর : পঞ্চাশের মন্বন্তর।

    প্রশ্ন : ১৯৫৬ সালের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে?
    উত্তর : ২১৪নং।

    প্রশ্ন : একুশের প্রথম গান ‘ভুলব না, ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না- এর রচয়িতা কে?
    উত্তর : আ ন ম গাজীউল হক।

    প্রশ্ন : মুজিবনগর সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ছিলেন কে?
    উত্তর : আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

    প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল কোথায়?
    উত্তর : মাহেন্দ্রগঞ্জ, আসাম, ভারত (১০ অক্টোবর ১৯৭১ থেকে)।

    প্রশ্ন : পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কবে?
    উত্তর : ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪।

    প্রশ্ন : ছয় দফার ৪র্থ দফা কোনটি?
    উত্তর : রাজস্ব, কর শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।

    প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরােধ গড়ে তােলে কারা?
    উত্তর : ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।

    প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাস কোনটি?
    উত্তর : রাইফেল রােটি আওরাত।

    প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে কয়টি রাজনৈতিক যুদ্ধ অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়?
    উত্তর : ৪টি।

    প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিক বীরশ্রেষ্ঠ কোন বাহিনীর?
    উত্তর : সেনাবাহিনীর; ৩ জন।

    প্রশ্ন : ২০২১-২২ অর্থবছরে মােট সার ব্যবহৃত হয় কত?
    উত্তর : ৫৬.৯১ লক্ষ মেট্রিক টন। [অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২]

    প্রশ্ন : শতাব্দী, ইনিয়া-৬৬ ও দোয়েল কিসের নাম?
    উত্তর : উন্নত জাতের গম ।

    প্রশ্ন : BADC’র পূর্ণরূপ কি?
    উত্তর : Bangladesh Agricultural Development Corporation

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর : ময়মনসিংহ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে কোন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হয়?
    উত্তর : বােরাে।

    প্রশ্ন : লস্করপুর ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিত?
    উত্তর : হবিগঞ্জ।

    প্রশ্ন : বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমাণ কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি?
    উত্তর : রাঙ্গামাটি।

    প্রশ্ন : সুন্দরবনের অন্যনাম ‘বাদাবন’এর অর্থ কে?
    উত্তর : জলাভূমির বন।

    প্রশ্ন : জাতীয় কৃষি কাউন্সিলের বর্তমান সভাপতি কে?
    উত্তর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রশ্ন : রাইস মিউজিয়াম বা ধান জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
    বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI), গাজীপুর।

    প্রশ্ন : সার্কভুক্ত দেশে পােল্ট্রি উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
    উত্তর : ৩য়।

    প্রশ্ন : গৌড়মতি, ইলামতি ও মেহেদী-২ কোন জাতের আম?
    উত্তর : নাবী জাতের।

    প্রশ্ন : দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয় কবে?
    উত্তর : ১৫-২১ জুন ২০২২।

    প্রশ্ন : জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত?
    উত্তর : ১.২২।